দ্রব ও দ্রাবক নিয়ে ধারণা

➷দ্রব + দ্রাবক = দ্রবণ ।
☞সবসময় মনে রাখবে, দ্রবণ এক প্রকার মিশ্রণ ।দ্রবণকে মিশ্রণ বলার কারণ--
মিশ্রণ দুই প্রকার ।
যথা-
১.সমসত্ব মিশ্রণ
২.অসমসত্ব মিশ্রণ ।
☞যে মিশ্রণের উপাদানগুলো নিজেদের মধ্যে পুরোপুরি মিশে যায় সে মিশ্রণ সমসত্ব মিশ্রণ ।
যেমন-চিনি ও পানির মিশ্রণ ।
☞আবার যে মিশ্রণের উপাদানগুলো পুরোপুরি নিজেদের মধ্যে মিশে না সেটি অসমসত্ব মিশ্রণ ।
যেমন- চিনি ও বালির মিশ্রণ ।
দ্রবণ এক প্রকার সমসত্ব মিশ্রণ । কারণ দ্রবণে উপাদানগুলো পুরোপুরি নিজেদের মধ্যে মিশে যায় ।
অর্থাত্ চিনি ও পানির মিশ্রণ একটি সমসত্ব মিশ্রণ এবং এটি একটি দ্রবণ ।
অর্থাত্ সমসত্ব মিশ্রণ যে কথা, দ্রবণ একই কথা ।
দ্রবণের উপাদানগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।যথা-
১. দ্রব
২.দ্রাবক
দ্রবণে যার পরিমাণ বেশি থাকে সেটি দ্রাবক ।
আর যার পরিমাণ কম থাকে সেটি দ্রব ।
☞মনে রাখার সহজ পদ্ধতি :
'দ্রাবক' লিখতে ৩ অক্ষর লাগে আর 'দ্রব' লিখতে লাগে ২ অক্ষর ।
তাই দ্রবণে দ্রাবকের পরিমাণ বেশি থাকে ।আর দ্রবের পরিমাণ কম থাকে।
যেমন- চিনি ও পানির মিশ্রণ একটি দ্রবণ ।
☞মনে রাখবে -
১ গ্লাস পানিতে যদি ১ চামচ চিনি নাও তবে পানি হবে দ্রাবক । আবার, ১ গ্লাস চিনিতে যদি ১ চামচ পানি নাও তবে চিনিটা হবে দ্রাবক ।
কেননা দ্রবণে যার পরিমাণ বেশি থাকে সে-ই দ্রাবক ।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

1 comments: