-কি হলো?হঠাৎ এভাবে রাস্তার
মাঝখানে থামালিকেন?
- তুমি গত দুই দিন ছাদে আসনাই কেন??
-একি কাঁদছিস কেন?কি হয়েছে?
-কিছুনা।
কথাটা বলেই হনহন করে চলে গেল তপু।
আর তার গমন পথের দিকে অপলক
তাকিয়ে আছে অর্পি।
তপু এইবার ইন্টার পরীক্ষা দিয়েছে।
আর
অর্পি পড়ে অনার্স ২বর্ষ।
পাশাপাশি বাসায় থাকে ওরা।সেই
সুবাদে তপুকে সেই
ছোটবেলা থেকেই
চিনে অর্পি। খুব মেধাবী ও অনেক ভদ্র
একটি ছেলে।গত কয়েকদিন যাবত
অর্পি খেয়াল করছে সে যখন দুপুরের
রোদে ছাদে কাপড় মেলতে যায় তপু
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে তার
দিকে।অর্পি ব্যাপারটা আন্দাজ
করতে পারছে।তপুর এই অপলক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার
মানে কি!
কিন্তু কিছুই বলেনা সে।
অর্পির ও কেন জানি ভাললাগে তপুর
এভাবে তাকিয়ে থাকা।তাই আসল
ব্যাপারটা বুঝার জন্যই অর্পি গত দুইদিন
ছাদে যায়নি।
আজ কেন জানি খুব ভাল
লাগছে অর্পির।
জ্যোৎস্না রাতে আকাশের
দিকে তাকিয়ে তারাগুলোর
ছুটাছুটি দেখছে প্রাণভরে। থালার
মত
চাঁদটাকে কেন জানি মনে হচ্ছে তপুর
প্রতিচ্ছবি। জ্যোৎস্নার অফুরন্ত
আলোকে মনেহচ্ছে তার প্রতি তপুর
ভালবাসা।
যে ভালবাসাকে উপেক্ষা করার
শক্তি তার নেই।
কি করবে এখন কিছুই
ভেবে পায়না সে।
তপুকে কি বলে দিবে যে,আমিও
তোকে অনেক ভালবাসি।
না সেটা কেমন দেখায়!তার
থেকে ভাল হবে ওই আগে বলুক।
দেখি কিভাবে বড় আপুকে প্রপোজ
করে।বড়
আপুকেভালবাসতে পারবে আর
বলতে পারবেনা!
কথাটা ভেবে একাএকাই
হেসে উঠে অর্পি।
-হ্যালো! অর্পি আপু?
-হুম!বল।
-তুমি কি কালকে একটু আমার
সাথে দেখা করতে পারবে?
-পারব।বিকেলে ছাদে আসিস।
-না,ছাদে না।
-তাহলে কোথায়?
-আগে বলো আসবে!
-আচ্ছা আসব।এবার বল!
-কালকে একটু পার্কে আসতে পারবে?
-ওকে ওকে আসব।
বলেই ফোনটা কেটে দেয় অর্পি।
আজ সকাল থেকেই অর্পির মধ্যে এক
অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে।সেই
সাথে হাসিও পাচ্ছে এই
ভেবে যে গাধাটা কিভাবে তাকে প্রপোজ
করবে।
***
বিকাল ৫টা ১০।
অর্পি পার্কের বেঞ্চে বসে আছে ।
আর
ভাবছে গাধাটা এখনো আসছেনা কেন?
আসলে কি কি বলবে তাও
মনেমনে গুছিয়ে নেই অর্পি। হঠাৎ
অস্পষ্টভাবে শুনতে পায় পাশেই কেউ
বলছে একটা ছেলে এক্সিডেন্ট
করে রাস্তায় পরে আছে।
কথাটা শুনেই অর্পির বুকের
ভেতরটা কেমন যেন করে উঠল।এক
অজানা ত্রাশ এসে গ্রাস করল তাকে।
ভয়ে ভয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে ডায়াল
করে তপুকে।কিন্তু
অচেনা এক মানবী জানান
দেয়,আপনার
ডায়ালকৃত নাম্বারটিতে এই
মূহূর্তে সং্যোগ দেওয়া সম্ভব
হচ্ছে না।আকাশে মেঘের
বজ্রধ্বনি শুনা যায়।আর সেই মেঘের
সাথে তাল মিলিয়ে
বুকের ভেতরটা হুহু
করে কেঁদে উঠে অর্পির....
- Blogger Comment
- Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment