কেউ মিথ্যা কথা বলছে কি না কি করে বুঝবেন?

আপনার সামনে দাঁড়িয়ে কেউ মিথ্যা কথা বলছে কি না কি করে বুঝবেন? যদিও এর কোনও মেড ইজি দিতে পারেননি বৈজ্ঞানিকরা, তবু মনস্তত্ববিদরা বলেন, কিছু বডি ল্যাঙ্গুয়েজ দেখে আপনি আন্দাজ করতে পারবেন আপনার প্রিয় বন্ধু বা গার্লফ্রেন্ড আপনাকে ঠকাচ্ছে কি না।

সরাসরি না তাকানো:একজন মিথ্যাবাদী কখনই আই কন্ট্যাক্টে কথা বলতে পারে না। আপনার সঙ্গে কথা বলার সময়েও তার চোখ আপনার চোখের দিকে থাকবে না।

সরাসরি তাকানো:শুনতে অবাক লাগলেও একজন দর মিথ্যাবাদী এই পন্থাই নেয়। আপনাকে ঠকাতে হলে শান্তভাবে একদৃষ্টিতে আপনার চোখে চোখ রেখেই কথা বলবে দর মিথ্যাবাদীরা। ভয়ানক জালিয়াত না হলে এই অভ্যাস রপ্ত করা কঠিন।

অন্যমনস্কতা:কেউ কথা বলার সময় বারবার চুল নিয়ে খেললে, নখ ছিঁড়লে, পায়ের পজিশন বারবার পাল্টালে বুঝবেন সে আপনাকে সত্যিই বলছে না। এগুলি নার্ভাসনেসের লক্ষণ।

স্ট্যাচু:মিথ্যা বলার সময় অনেকেই একদম কাঠ হয়ে যান। শরীরের উপরের অংশের নড়াচড়া বন্ধ হয়ে যায়। কনফিডেন্ট না থাকার লক্ষণ এটি।

গলা পরিষ্কার:কথা বলার সময় অল্প কেশে গলা পরিষ্কার করা, অপ্রয়োজনে গলা খাঁকারি দেওয়া মিথ্যুকদের অভ্যাস।

ঘেমে একসা:মিথ্যা বলার সময় অনেকেই ঘামতে থাকেন। ধরা পরে যাওয়ার ভয় থেকেই এটা হয়।

আটকে আটকে কথা বলা:মিথ্যে বলতে গিয়ে অনেকেই তথ্যে ভুল করে বসেন। তখন নিজের ভুল ধরা পরে যাওয়ার ভয়ে থেমে, আটকে আটকে কথা বলে মিথ্যুকরা।

অকারণে টেনে কথা বলা:কোনও একটি বাক্য শেষ করতে গিয়েও শেষ করতে পারছে না আপনার উল্টোদিকে কথা বলতে থাকা ব্যক্তিটি। তাহলে বুঝবেন সে মিথ্যা বলছে।

বাক্যের বিন্যাসে অসঙ্গতি:যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের বাক্য বিন্যাস দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন সে মিথ্যা বলছে। অকারণে সাধু বাক্যের প্রয়োগ, চলতি শব্দ এড়িয়ে যাওয়া, সাধারণ শব্দের বদলে লেখ্য ভাষায় কথা বললে বুঝবেন আপনার সঙ্গী আপনাকে ঠকাচ্ছে। চোখের জল:এই ব্যাপারে দশ গোল দেবে মেয়েরা। মিথ্যে বলার সময়ে চোখের জল ফেলতে ওস্তাদ মেয়েরা। ছেলেরা ততটা পটু নয় এ বিষয়ে। যারা শো অফ করতে ভালবাসে তাদের কাছে এভাবে মিথ্যা বলাটা জলভাত। তাই সাধু সাবধান।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment