বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সফটঅয়্যার মাইক্রোসফট ওয়ার্ড। এই বিষয়ে আগের যে টিউটোরিয়ালগুলি দেয়া হয়েছে সেগুলি থেকে এর প্রায় পুরোটাই কাজে লাগানো সম্ভব। এর বাইরেও কিছু উন্নত ফিচার রয়েছে যা কাজে সহায়তা করতে পারে। সেগুলি সম্পর্কে জেনে নিন।
ফাইন্ড এবং রিপ্লেস
আপনি বিশাল একটি ডকুমেন্ট তৈরী করেছেন। সেখানে কোন একটি অংশ খুজে বের করা প্রয়োজন। বিভিন্ন পৃষ্ঠায় গিয়ে দেখে দেখে খোজার বদলে কাজটি ওয়ার্ডকে দিয়ে দিন। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে কার্সর হাজির হবে।
.মেনু থেকে কমান্ড দিনEdit – Find (কিবোর্ডেCtrl-F)
.Findডায়ালগ বক্সে শব্দটি (বা একাধিক পরপর শব্দ) টাইপ করে দিন।
.Find Nextক্লিক করুন।
আপনার ডকুমেন্টের যেখানে শব্দটি রয়েছে সেখানে কার্সর চলে যাবে। সেখানে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করে নিন।
আপনি হয়ত কোন ডকুমেন্টে একটি শব্দ ভুলক্রমে ব্যবহার করেছেন। পরবর্তীতে বাদ বদলী কোন শব্দ ব্যবহার করতে চান। উদাহরন, হয়ত আপনি বহুবার ঢাকা শব্দটি ব্যবহার করেছেন পরবর্তীতে ঢাকা শব্দে বদলে চট্টগ্রাম শব্দটি ব্যবহার করতে চান। কাজটি করতে পারেন খুব সহজে।
.যদি নির্দিস্ট একটি শব্দের (বা একাধিক শব্দের) বদলে আরেকটি শব্দ ব্যবহার করতে চান তাহলেReplaceট্যাব সিলেক্ট করুন।
.Findঅংশে যে শব্দ বদল করতে চান সেটি টাইপ করুন।
.Replaceঅংশে যে শব্দ ব্যবহার করতে চান সেটি টাইপ করুন।
.Find Nextবাটনে ক্লিক করুন। নির্দিস্ট শব্দটি দেখা যাবে।
.Replaceবাটনে ক্লিক করুন, শব্দটি পরিবর্তন হবে।
.আপনি যদি নিশ্চিত থাকেন ডকুমেন্টের সবগুলি শব্দ পরিবর্তন করবেন তাহলেReplace Allবাটনে ক্লিক করুন। সবগুলি শব্দ পরিবর্তন করা হবে এবং কতগুলি শব্দ পরিবর্তন করা হয়েছে সেই তথ্য জানানো হবে।
পেষ্ট স্পেশাল
কপি এবং পেষ্ট অত্যন্ত সাধারন একটি কাজ। আপনি যা কপি করবেন পেষ্ট করলে ঠিক সেটাই পাবেন। পেষ্ট স্পেশাল বলে একটি ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে কিভাবে পেষ্ট করবেন সেটা বলে দিতে পারেন। যেমন টেক্সট এর ক্ষেত্রে ফরম্যাটেট টেক্সট, আনফরম্যাটেড টেক্সট, এইচটিএমএল ফরম্যাট ইত্যাদি অপশন পাওয়া যাবে, ইমেজের ক্ষেত্রে ইমেজের বৈশিষ্ট অনুযায়ী বিভিন্ন অপশন পাবেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রতিটি সফটঅয়্যারের ডকুমেন্টে নিজস্ব কিছু তথ্য থাকে। ওয়ার্ডে করা ডকুমেন্ট কপি-পেষ্ট করলে ওয়ার্ডের তথ্য তারসাথে থাকে। যে কারনে প্রোগ্রামিং কোড ওয়ার্ডে লেখা হয় না। পেষ্ট স্পেশাল ব্যবহারের সুযোগ থাকলে আনফরম্যাটেড টেক্সট হিসেবে প্রোগ্রামিং কোড ব্যবহার করা সম্ভব।
পেষ্ট স্পেশাল কমান্ডটি পাওয়া যাবে,Edit – Paste Specialমেনু থেকে।
ফরম্যাট পেইন্টার
হলুদ রঙের পেইন্টব্রাশের আইকনের ফরম্যাট পেইন্টার ব্যবহার করে এক যায়গা ফরম্যাট অন্য যায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। হয়ত একটি টাইটেল তৈরী করেছেন নির্দিষ্ট ফন্টে, নির্দিষ্ট মাপে, নির্দিষ্ট রঙে। এই ফরম্যাট অন্য টাইটেলে ব্যবহার করলে সেই টাইটেলে টেক্সট ঠিক থাকবে কিন্তু ফন্ট, সাইজ, রং ইত্যাদি পরিবর্তিত হবে।
.যে অংশের ফরম্যাট ব্যবহার করতে চান সেখানে কার্সর আনুন বা সিলেক্ট করুন।
.Format Painterটুল ক্লিক করুন। মাউস পয়েন্টারের সাথে ব্রাশ দেখা যাবে।
.যে অংশে সেই ফরম্যাট ব্যবহার করতে চান সেটুকু সিলেক্ট করুন। সাথেসাথে বৈশিষ্টগুলি পাল্টে যাবে।
কেস পরিবর্তন
ইংরেজিতে টেক্সট লেখার সাধারন নিয়ম হচ্ছে বাক্যের প্রথম অক্ষর বড় হাতের (ক্যাপিটাল) রাখা হয়, অন্যগুলি ছোটহাতের অক্ষর হয়। কোন কোন শব্দ শুরু হয় ক্যাপিটাল লেটার দিয়ে। এছাড়াও কখনো কখনো পুরো বাক্য ক্যাটিপাল, পুরো বাক্য স্মল, প্রতিটি শব্দের প্রথম অক্ষর ক্যাপিটাল রাখা হয়।
টাইপ করার পরও আপনি এই পরিবর্তনগুলি করে নিতে পারেন ওয়ার্ডের কমান্ড ব্যবহার করে।
.যে টেক্সট এর পরিবর্তন করবেন সেটুকু সিলেক্ট করুন।
.মেনু থেকে কমান্ড দিন
.আপনি যা করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন।
এখানকার অপশনগুলি
·Sentence case:বাক্যের প্রথম অক্ষর ক্যাপিটাল
·lower case:সবগুলি ছোটহাতের অক্ষর
·Upper case :সবগুলি বড়হাতের অক্ষর।
·Title Case :প্রতিটি শব্দ ক্যাপিটাল লেটার দিয়ে শুরু।
·Toggle Case :বর্তমানে যা রয়েছে তার ঠিক বিপরীত।
ওয়ার্ড কাউন্ট
কখনো কখনো লেখার শব্দ গোনা প্রয়োজন হয়। অনেক সময়ই যারা ওয়ার্ড প্রসেসিং কাজ করেন কিংবা লেখালেখির কাজ করেন তাদের অর্থ দেয়া হয় শব্দপ্রতি। আপনি যে কোন সময় ডকুমেন্টে শব্দ, অক্ষর, প্যারাগ্রাফ ইত্যাদির সংখ্যা জানতে পারেন।
.মেনু থেকেWord Countসিলেক্ট করুন। পুরো ডকুমেন্টের তথ্য দেখা যাবে।
.নির্দিষ্ট অংশের তথ্য জানার জন্য প্রথমে অংশটুকু সিলেক্ট করে নিন।
- Blogger Comment
- Facebook Comment
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment