"এক নজরে নোবেল পুরস্কার ২০১৪"

#‎ শান্তি‬
পেয়েছেন কৈলাশ সত্যারথী, মালালা ইউসুফাজাই ৬০ বছর বয়সী কৈলাশ সত্যারথী নোবেল পেয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবেশিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য। ১৯৮০ সালে তিনি শিক্ষকতা পেশা ছেড়ে Save the Childhood Mission শুরু করেন।
১৭ বছর বয়সী মালালা নোবেল পেয়েছেন পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করে।
‪#‎ সাহিত্য‬
পেয়েছেন প্যাট্রিক মোডিয়ানো। ফরাসী এই সাহিত্যিকের লেখাগুলো মূলত হারিয়ে যাওয়া, স্মৃতি, খুঁজে বেড়ানোর গল্প নিয়ে। তার বেশীরভাগ ফিকশন ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার প্যারিস ভিত্তিক। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় উপন্যাস Missing Person একজন লোকের কাহিনী নিয়ে যে তার পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়। তার লেখা Dora Bruder এর কাহিনী ১৯৪১ সালে হারিয়ে যাওয়া এক ইহুদী মেয়েকে খোঁজা নিয়ে।
‪#‎ ফিজিওলোজি‬
পেয়েছেন জন ওকিফ, এডওয়ার্ড মোসার, মেব্রিট মোসার। এদের মধ্যে শেষের দুজন স্বামী-স্ত্রী। মস্তিষ্ক কিভাবে বুঝতে পারে আমরা কোথায় আছি, আমরা কিভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে সমর্থ হই এবং কোন পথে একবার গেলে সে পথ পুনরায় চিনতে পারি? মোবাইলের GPS এর মত মানব মস্তিস্কের GPS সিস্টেম আবিষ্কার করে ২০১৪ সালের চিকিৎসাশাস্ত্রেনোবেল জিতেছেন তিন স্নায়ুবিজ্ঞানী।
‪#‎ পদার্থবিজ্ঞান‬
পেয়েছেন ইসামু আকাজাকি, হিরোশি আমানো, সুজি নাকামুরা। প্রথম LED আবিষ্কার ছিলো ১৯৬২ সালে। তার রঙ ছিলো লাল। এরপর সবুজ রঙের LED আবিষ্কার হলেও, নীল আলো তৈরিতে সক্ষম LED তৈরির বাধাটা কোনভাবেই অতিক্রম করা যাচ্ছিলো না। এখন প্রশ্ন হলো নীল LED কেন এতো দরকার? কারন আমরা সাদা রঙের আলো সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করি, আর, সাদা আলো তৈরিতে দরকার লাল, সবুজ ও নীল-এই তিনটা রঙের আলো। অবশেষে ১৯৮৬ সালে প্রথম সফল হন, জাপানের নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আকাশি ও প্রফেসর আমানো। ভিন্ন পদ্ধতিতে ১৯৯০ সালে সফলতা পান প্রফেসর নাকামুরা। যেহেতু সাদা আলো LED এর মাধ্যমে উৎপাদন সম্ভব হয়, কম্পিউটার ও টিভি স্ক্রিন চলে যায় LED দখলে। আবার, Energy Saving বাতিতে ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় LED এর। কারণ সাধারণ বাতির সবচেয়ে বড় অপচয় ছিলো তাপের মাধ্যমে বিদ্যুৎশক্তির অপচয়, যা LED ব্যবহারের কারণে কমে যায় প্রায় ৫০%
‪#‎ রসায়ন‬
পেয়েছেন এরিক বেটজিক, স্টিফান হেল, উইলিয়াম ময়েরনার। অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ নিয়ে বহুদিন ধরেই এমন ধারণা ছিল যে, এতে কখনোই আলোক রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘের অর্ধেকের চেয়ে বেশি ভালো রেজুলিউশন পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই বিজ্ঞানীরা ফ্লোরোসেন্ট মলিকিউল ব্যবহার করে এই সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করেছেন। এই তিন বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত পথে এখন জীবকোষের মধ্যে প্রতিটি অণুকে দেখা সম্ভব হচ্ছে। কী ভাবে অণুগুলি মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষের মধ্যে সংযোগ তৈরি করছে, কী ভাবে পারকিনসন্স, অ্যালঝাইমার্স, হান্টটিংটন রোগের জন্য দায়ী প্রোটিনেরা কী ভাবে জমে উঠছে বা নিষিক্ত ডিম্বানু থেকে ভ্রূণ তৈরির সময় প্রোটিনেরা কী ভাবে তৈরি হচ্ছে তা নজরে রাখা সম্ভব হচ্ছে।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment