ভিডিওগ্রাফি টিউটোরিয়াল: নাইকন ডি৩১০০ লাইভ ভিউ এবং মুভি রেকর্ডিং

নাইকন ডি৩১০০ তাদের কমদামের এসএলআর ক্যামেরা। কমদামের কথাটা শূনে অনেকের আপত্তি থাকতে পারে এর মান সম্পর্কে। বাস্তবে গত কয়েক বছরে ডিজিটাল ক্যামেরায় এতটা উন্নতি হয়েছে যে আপনি বলতে পারেন বর্তমানের স্মার্টফোন কয়েক বছর আগের পিসির চেয়ে যেমন শক্তিশালী তেমনি কমদামের এই ক্যামেরা কয়েক বছর আগের উচুমানের ক্যামেরার থেকেও উন্নত ছবি পাওয়া যায়। এই লেখা অবশ্য ষ্টিল ছবি নিয়ে না। বরং লাইভ ভিউ নামের ফিচার এবং ভিডিও রেকর্ড বিষয়ে। কম্প্যাক্ট ক্যামেরা যারা ব্যবহার করেন তারা সবসময়ই এলসিডি ডিসপ্লে ব্যবহারে অভ্যস্থ। সেখানে ভিউফাইন্ডার থাকলেও সেটা ইলেকট্রনিক। মুল লেন্স দিয়ে যে ছবি পাওয়া যায় তারথেকে কিচুটা ভিন্ন। এসএলআর ক্যামেরার প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে এর অপটিকাল ভিউফাইন্ডার। এর মাধ্যমে লেন্সের ভেতর দিয়ে দেখা যায়। যেকারনে এসএলআর ক্যামেরায় লাইভ ভিউ নামের এলসিডি বিষয়টি তুলনামুলক নতুন। এতেও লেন্সের ভেতর দিয়ে দেখা যায়। অনেকের কাছে প্রশ্ন, দুটি তুলনা করলে বিষয়টি কেমন দাড়ায়। অপটিকাল ভিউফাইন্ডারে ছবি দেখা যায় নিখুত, অনেক বড়। তুলনায় এলসিডি ছোট, বেশি আলোতে ঝাপসা দেখা যায়। লাইভ ভিউ ব্যবহারের সময় ফেজ ডিটেক্ট অটোফোকাস কাজ করে না। ক্যামেরা নির্মাতা বলেই দেন লাইভ ডিউ থেকে ভিউফাইন্ডার ব্যবহার করলে নিখুত ফোকাস পাওয়া যাবে। তারপরও লাইভ ভিউ নিয়ে এত কথা বলা হচ্ছে কেন ? যে সমস্যাগুলির কথা উল্লেখ করা হল তার অনেকটাই এই ক্যামেরায় দুর করা সম্ভব হয়েছে। বলা হচ্ছে না এর ফলে ভিউফাইন্ডারের একই ফল পাওয়া যাবে, তারপরও এতে যা দেখা যাবে সেটা লেন্সের ভেতর দিয়ে পাওয়া ছবি। কম্প্যাক্ট ক্যামেরা থেকে মুল পার্থক্য এখানেই। ডি৩১০০ মডেলে লাইভ ভিউ এর জন্য পেছনদিকে একটি সুইচ ব্যবহার করতে হয়। এর মাঝখানে মুভি রেকর্ডিং বাটন রয়েছে। (ডি৭০০০, ডি৯০ কিংবা অন্য মডেলে সুইচের বদলে সরাসরি লাইভ ভিউ বাটনে চাপ দিয়ে অন করতে হয়, ওকে বাটনে চাপ দিয়ে রেকর্ড শুরু করতে হয়।) লাইভ ভিউ মোডে ছবি উঠানোর বিষয়টি দেখা যাক। .লাইভ ভিউ মোড অন করুন .জুম ঠিক করুন। .এক্সপোজার সেটিং ঠিক করুন। .সাটার রিলিজ বাটন অর্ধেক চাপ দিয়ে অটোফোকাস করুন। .পুরো চাপ দিয়ে ছবি উঠান। .মুভি রেকর্ড বাটনে চাপ দিন। ভিডিও রেকর্ড হতে থাকবে। .মুভি রেকর্ড বাটনে আরেকবার চাপ দিন, ভিডিও রেকর্ড শেষ হবে। ভিডিও রেকর্ড করার পর ছবি দেখার মত সেটা প্রিভিউ (প্লে) করা যাবে। প্লে করার সময় আরো কিছু কাজ করা যায়। থামানো: মাল্টি সিলেক্টর ডাউন বাটন চাপ দিয়ে ভিডিও নির্দিস্ট যায়গায় থেমে থাকবে। সেন্টার বাটন চাপ দিলে পুনরায় চালু হবে। পেছনে/সামনের দিকে যাওয়া: লেফঠ/রাইট বাটন ব্যবহার করে ভিডিওর সামনে বা পেছনের দিকে যাওয়া যাবে। একবার চাপ দিলে ২গুন, দুবার চাপ দিলে ৮ গুন এবং ৩ বার চাপ দিলে ১৬ গুন হতিতে সামনে/পেছনে যাওয়া যাবে। এক ফ্রেম করে সামনে/পেছনে যাওয়া: ডাউন কি ব্যবহার করে ভিডিওকে থামান, এরপর লেফট-রাইট কি ব্যবহার করুন। শব্দ কমবেশি করা :জুম ইন/ জুম আউট বাটন ব্যবহার করে শব্দ বাড়ানো-কমানো যাবে। ক্যামেরায় এডিটিং ক্যামেরায় ভিডিও ক্লিপের সামনের বা পেছনের অংশ বাদ দেয়ার কাজ করা যায়। এর বেশি কাজের জন্য কোন ভিডিও এডিটিং সফটঅয়্যার ব্যবহার করতে হবে। ক্যামেরায় যেভাবে এডিট করবেন; .মুভি চালু অবস্থায় ডাউন কি চাপ দিয়ে ক্লিপটি থামান।AE-L/AF-Lবাটন চাপ দিন। মুভি এডিট মেনু পাওয়া যাবে। .শুরু অথবা শেষের অংশ সিলেক্ট করবেন সেটা সিলেক্ট করুন মেনু থেকে। .সেন্টার বাটন চাপ দিন। মুভি প্লে হতে থাকবে। যে যায়গায় কেটে বাদ দিতে চান সেখানে আসার পর ডাউন কি চাপ দিয়ে থামান। .আপ বাটনে চাপ দিন। সেখানে কেটে বাদ দেয়ার জন্য ইয়েস সিলেক্ট করুন। .এভাবে শুরু এবং শেষ ঠিক করে নিন। .কাজ শেষ করার জন্য সেভ মুভি সিলেক্ট করুন। মুভি থেকে একটি ফ্রেম সেভ করা ভিডিও ক্লিপ থেকে একটি ফ্রেমকে জেপেগ ফরম্যাটে সেভ করতে পারেন। ভিডিওর যে রেজ্যুলুশন সেই মাপের ছবি পাওয়া যাবে। .মুভি চালু করে নির্দিষ্ট যায়গায় থামান। .AE-L/AF/Lচাপ দিয়ে মুভি এডিট মেনু ওপেন করুন। .Save Selected Frameসিলেক্ট করুন।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment