সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সময় যে নিয়ম মেনে চলবেন

ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগ যারা পরিচালনা করেন তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাইটের প্রচার বাড়ানো। প্রচার যত বেশি, ভিজিটর তত বেশি। স্বাভাবিকভাবেই আয় তত বেশি। কিন্তু প্রচার বাড়ানোর কাজটি এতটাই জটিল যে যারা নতুন তারা অধৈর্য্য হয়ে পরেন। মাসের পর মাস চেষ্টা করেও দেখা যায় সেখানে সামান্য কিছু ভিজিটর পাওয়া গেছে। একেই ব্যবসার সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করেন অনেকে। বহু প্রতিস্ঠান রয়েছে যারা সহজে প্রচার বাড়ানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে নানারকমভাবে সহায়তা করেন। বিশেষ সফটঅয়্যার ব্যবহার করেন যেগুলি কোন কোনটি সার্চ ওয়ার্ডে যাই থাকুক না কেন, তারসাথে মিল রেখে সাইটের পরিবর্তন এনে রেজাল্টে যোগ করে দেয়। সেইসাথে সফটঅয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জি, ডিরেক্টরীতে যোগ করা, +১ বাটন এ ক্লিক দেখানো ইত্যাদি করে। যেহেতু অনেকে এদিকে সহজে আকৃষ্ট হন সেকারনে এখানে ক্ষতির সম্ভাবনাও থেকে যায়। গুগল তাদের ওয়েবমাষ্টার গাইডলাইনে এসইও সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছে হঠাত করে ইমেইল পাঠায় এমন এসইও প্রতিস্ঠান থেকে দুরে থাকুন। গুগলের বক্তব্য, আপনি নিজের চেষ্টায় প্রচার বাড়াবেন, কোন ধরনের অবৈধ পথে যাবেন না। অথবা কারো সেবা নিলে এমন কারো সেবা নেবেন যারা অবৈধ পথে যায় না। তাদের চেনার সহজ উপায় হঠাত করে ই-মেইল পাঠানো। সাধারনভাবে স্ক্যাম নামে পরিচিত অপরিচিত যায়র মেইল পছন্দ করেন না কেউই। সাধারনভাবে তাদের বক্তব্য, তাদের সফটঅয়্যার ব্যবহার করলে কি কি সুবিধে পাবেন, কে কি সাফল্য পেয়েছে ইত্যাদি বর্ননা। আপনি তাদের অটোমেটেড এসইও টুল ব্যবহার করলে মুহুর্তে আপনার সাইটের জনপ্রিয়তা বাড়বে। পরামর্শ হচ্ছে, আপনার মেইলবক্সে যদি এসইও সেবা বিষয়ে কোন মেইল যায় তাহলে ভালভাবে খোজ না নিয়ে তাদের সেবা নেবেন না। তাদের পদ্ধতি যত উন্নতই হোক, আপনার মুল যোগাযোগ শেষ পর্যন্ত গুগল এরমত সার্চ ইঞ্জিনগুলির সাথে। তারা আপনার সাইটকে ব্লাকলিষ্টেড করতে পারে, এডসেন্স থাকলে সেটা বাতিল করতে পারে। সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি স্বাভাবিকভাবে সাইটের জনপ্রিয়তা বাড়তে দেয়া। এজন্য সময় প্রয়োজন। সাধারনভাবে ধরে নেয়া হয় একটি সাইট সার্চ ইঞ্জিনে যায় ৬০ দিনে, সত্যিকারের পরিচিতি পায় ৩ বছরে। এটুকু ধৈর্য্য ধরে কাজ করুন, এসইও নামের শর্টকাট ব্যবহারের চেষ্টা করবেন না। অবশ্য এটাও ধরে নেবেন না যে সব এসইও প্রতিস্ঠানই ঠকবাজ। অনেকেই অর্থের বিনিময়ে সত্যিকারের সেবা দেন। আপনার কাজকে অনেক সহজ করতে পারেন। তারা স্প্যাম মেইল পাঠান না।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment