ওয়েব ডিজাইনের মুলনীতি ঠিক রাখুন

সম্প্রতি গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা গানিতিক হিসেবে চেয়ে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞার ওপর বেশি জোর দেয়। তার অর্থ আগে যে নিয়মে ওয়েব সাইট তৈরী করলে বেশি ভিজিটর পাওয়া যেত বর্তমানে সেভাবে ভাল ফল পাওয়া যাবে না, বরং ভিজিটর সাইটকে ভাল নজরে দেখলে ভাল ফল পাওয়া যাবে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও পদ্ধতিতে এটা বড় ধরনের পরিবর্তন। আপনি ওয়েব ডিজাইনার হলে কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরী করে বেশি ভিজিটর পাবেন সেই বিষয়গুলির দিকে দৃষ্টি রাখুন। পৃথকভাবে হয়ত উল্লেখ করা প্রয়োজন নেই ওয়েবসাইটকে সব ধরনের ব্রাউজারে ব্যবহারের সুযোগ রাখা, ফ্লাশ বা এইচটিএমএল৫ যাই ব্যবহার করা হোক না কেন, ঠিকভাবে কাজ করা ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বপুর্ন। আপনি যখন ওয়েব ডিজাইনার তখন আপনার পচিরিতি দেখে ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দেবে। ভাল ওয়েব ডিজাইনের সময় অনেক দক্ষ ডিজাইনারও সাধারন কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে পারেন। বিষয়গুলি আরেকবার দেখে নিন . ভিজিটরকে আকৃষ্ট করুন আপনার সাইটের মুল পেজকে হয়ত আকর্ষনীয় করেছেন কিন্তু ভিজিটর যখন সার্চ করে সাইটে যান তখন মুল পেজে যান না, বিশেষ কোন পেজে যান। ল্যান্ডিং পেজ নামে পরিচিত এই পেজকে এমনভাবে রাখুন যেন ভিজিটর কিছু সময় ব্যয় করেন। . বিষয়কে সহজ রাখুন গুরুত্বপুর্ন তথ্যকে সহজভাবে তুলে ধরুন। অনেক সময়েই সাইটের সৌন্দর্যের দিকে এতটা দৃষ্টি দেয়া হয় (কখনো কখনো ক্লায়েন্টের কারনেও করতে হয়) যেখানে বিষয়বস্তু ব্যবহার করা জটিল হয়ে দাড়ায়। ভিজিটর তথ্যের খোজেই সাইট ব্যবহার করেন, পেজ কত সুন্দর সেকারনে না। একথা মাথায় রেখে সাইট তৈরী করুন। . ইমেজের জন্য অলট ট্যাগ ব্যবহার করুন প্রতিটি ইমেজের জন্য বিকল্প শব্দ ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করুন। সার্চ ইঞ্জিনগুলি এই শব্দ সহজে খুজে পায়। . ইমেজের বাইরের লেখায় বেশি জোর দিন ইমেজের ভেতরে যে লেখা থাকে সার্চ ইঞ্জিন তাকে খুজে পায় না। বরং মুল টেক্সট এর সাথে কিওয়ার্ড এমনভাবে ব্যবহার করুন যেন সার্চ ইঞ্জিন সহজে খুজে পায়। . প্রতিটি লিংক যাচাই করুন বিভিন্ন সময়ে নানারকম পরিবর্তনের কারনে লিংক ঠিকমত কাজ না করতে পারে। লিংকগুলি ভালভাবে যাচাই করে নিন। ভিজিটর কোন পেজে প্রথমে যাবেন আগে থেকে জানার উপায় নেই। এমনভাবে লিংক রাখুন যেন ভিজিটর যেখানেই যান, সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যে যেতে পারেন। . সার্চ বক্স ব্যবহার করুন ওয়েব সাইটের ভেতরের তথ্য খোজার জন্য সার্চ বক্স রাখুন। এতে সহজে সাইট ব্যবহার করা যায়। . সাইট ব্যবহারের গতির দিকে লক্ষ রাখুন অতিরিক্ত ইমেজ বা ভিডিও ভিজিটর আকর্ষন করে একথা ভেবে এমন ওয়েবসাইট তৈরী করবেন না যা লোড হতে অতিরিক্ত সময় নেয়। সময় বেশি লাগলে ভিজিটর পেজ লোড হওয়ার আগেই সাইট থেকে সরে যাবেন। . কিওয়ার্ড ডেনসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করুন নির্দিষ্ট কিছু কিওয়ার্ড ঠিক করে সেগুলি নিয়মিত ব্যবহার করুন। বিশেষ কিওয়ার্ডে আপনার সাইটের কিওয়ার্ড যত বেশি ব্যবহৃত হবে সাইটের র‌্যাংকিং তত ওপরের দিকে যাবে। . ফ্লাশকে এইচটিএমএল৫ হিসেবে ব্যবহার করুন দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিক্স এর জন্য ফ্লাশ ব্যবহার হয় সবচেয়ে বেশি। স্মার্টফোনে এগুলি ঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় না। বর্তমান স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার কারনে আপনারও ফ্লাশ ফাইলকে এইচট্িএমএল৫ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। ফ্লাশ এনিমেশনে এইচটিএমএল হিসেবে এক্সপোর্ট করা যায়, গুগলের সুইফি ব্যবহার করে ফ্লাশকে এইচটিএমএল৫ এ কনভার্ট করা যায়। এই নিয়মগুলি মেনে পেশাদার ওয়েব ডিজাইনাররা অনেকেই ভাল ফল পাচ্ছেন। আপনার বক্তব্য এবং অভিজ্ঞতা ভিন্ন হলে বা ভিন্ন মত থাকলে জানাতে পারেন কমেন্ট লিখে।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment