ইন্টারনেটে ঘরে বসে আয় : পেইড টু ক্লিক PTC

যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজে আয় করতে চান তাদের কাছে পিটিসি অত্যন্ত আকর্ষনীয় বিষয়। অন্তত তাত্বিকভাবে কাজটি খুব সহজ। নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট ওপেন করবেন, নির্দিস্ট লিংকে ক্লিক করবেন। আপনার একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে। আয়ের এরচেয়ে সহজ পথ হয়না। বাস্তবে এই পদ্ধতির পেছনে অন্য অনেকগুলি বিষয় জড়িত। যদি একাজে হাত দিতেই চান তাহলে সেটা জেনে নেয়াই ভাল। প্রথম কথা, ক্লিক করলে আপনাকে টাকা দেবে কেন ? কে দেবে ? বর্তমান বিশ্ব চলে বিজ্ঞাপনের জোরে। আর ইন্টারনেট বিজ্ঞাপনের বিশাল যায়গা। এরই মধ্যে ছাপানো বিজ্ঞাপনকে ছাড়িয়ে গেছে ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন। সব ধরনের কেনাকাটা করা যায় ইন্টারনেট ব্যবহার করেই, কাজেই সেই বিবেচনায় ইন্টারনেট বিজ্ঞাপন সুবিধেজনক। এখানেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। আপনি কোন একটি বিষয়ে বিজ্ঞাপন দিলেন গুগলের মাধ্যমে, আরেকজনও দিল একই বিষয়ের বিজ্ঞাপন। গুগলের সার্চলিষ্টে কোনটি প্রাধান্য পাবে ? গুগলের ফর্মুলা অনুযায়ী যে সাইট মানুষ বেশি ব্যবহার করে সেই সাইট। আর এখানেই ক্লিক করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। কোন বিশেষ সাইটে যদি ভিজিটর বেশি যায় তাহলে তারা স্বাভাবিকভাবেই প্রাধান্য পাবে। আর যার ভাগ্যে সেটা ঘটে না সে ভাড়া করা মানুষ দিয়ে তার লিংকে ক্লিক করিয়ে নিতে পারে। আপনি যখন পিটিসি লিংকে ক্লিক করবেন তখন আপনি সেই ভাড়াকরা ক্লিককারী। প্রতি ক্লিকের জন্য পেতে পারেন কয়েক সেন্ট থেকে কয়েক ডলার পর্যন্ত। যত বেশি ক্লিক তত বেশি টাকা। এজন্য আপনাকে যা করতে হয় তা হচ্ছে, পিটিসি সেবা দেয় এমন কোন সাইটে গিয়ে তাদের ফরম পুরন করে সদস্য হওয়া। সদস্য হলে আপনি একটি একাউন্ট নাম এবং পাশওয়ার্ড পাবেন। কাজ করার জন্য নিজের একাউন্টে ঢুকতে হবে। বিভিন্ন সাইটের কাজ করার পদ্ধতিতে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে তবে মুল পদ্ধতি মোটামুটি একইরকম। আপনি সেখানে এড দেখতে পাবেন যেখানে। এগুলিতেই আপনাকে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার জন্য কয়েক সেকেন্ড সময় পাবেন (ধরুন ৩০ সেকেন্ড)। ক্লিক করার পর কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করতে হবে, ক্লিক কনফার্ম মেসেজ না পাওয়া পর্যন্ত। কতগুলি ক্লিক করার সুযোগ পাবেন সেটা নির্দিস্ট করা থাকবে এবং নির্ভর করবে তাদের ওপর। হয়ত একদিনে ২০টি ক্লিক করার সুযোগ পেলেন, আরেকদিন আদৌ পেলেন না। ক্লিক করার কোটা শেষ হলে আপনার হিসেব জেনে নিতে পারেন সেখান থেকেই। আপনি টাকা কিভাবে পাবেন সেটা আপনাকেই ঠিক করে দিতে হবে। পে-পল এর মত কোন সার্ভিসের একাউন্ট করে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। এবিষয়ে অন্যযায়গায় লেখা হয়েছে। মোটামুটি এটাই নিয়ম। এবারে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন, এধরনের সাইটের ঠিকানা কি ? সাইট আপনাকেই খুজে নিতে হবে গুগল সার্চ করে। কারন অনেকগুলি। অনেক সময়ই এধরনের সাইট কিছুদিন পর উধাও হয়ে যায়, সার্ভিস বন্ধ করে দেয় (তারাও অন্যের ওপর নির্ভরশীল), এমনকি আপনার নামে টাকা জমা হওয়ার পর সেটা না পাওয়ার ঘটনা ঘটার অভিযোগও রয়েছে। একথা ঠিক, এই পদ্ধতিতে অনেকে আয় করেছেন, করছেন। যদি এপথে আয় করতেই চান তাহলে নির্দিষ্ট সাইট খুজে বের করার মত সামান্য কাজটুকু করবেন না কেন ? সুবিধেমত একটি সাইট পেলে যখন দিনে কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে বাংলাদেশি টাকায় হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। এই মুহুর্তেই আয় শুরু করতে পারেন নির্ভরযোগ্য সাইট clixsense.com থেকে।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment