সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিভাবে করবেন

আপনার সাইটে ভিজিটরের সংখ্যা কতবেশি সেটা নির্ভর করে আপনার সাইটের সাথে সম্পর্কিত কিওয়ার্ড ব্যবহার করে সার্চ করে কতজন আপনার সাইটের দেখা পায় তার ওপর। সার্চ র‌্যাংকিংএ আপনার সাইটের অবস্থান যত ওপরের দিকে আপনার ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। কাজেই আপনার সাইট তৈরীর পাশাপাশি এদিকেও দৃষ্টি দিতে হয়। একে ওয়েবসাইটের প্রচারনা বলতে পারেন। আপনি প্রচার করছেন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে যেন তারা আপনাকে অন্যদের তুলনায় বেশি চেনে। এটাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। কাজটি কিভাবে করবেন জানার আগে জানা প্রয়োজন সার্চ ইঞ্জি আপনার সাইট খুজে পায় কিভাবে। আপনি ওয়েবসাইট তৈরীর পর গুগলের সাইটে গিয়ে আপনার সাইটের ঠিকানা এবং পরিচয় লিখে দিতে পারেন। সার্চ ইঞ্জিনে নিয়মিতভাবে তথ্য পাঠানোর জন্যtechnorati, ping-o-maticইত্যাদি সফটঅয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।যদি সেটা নাও করেন, সার্চ ইঞ্জিনের স্পাইডার নিজেই একাজ করে। আপনার সাইটের প্রতিটি টাইটেল, প্রতিটি লেখা অন্তত একবার দেখে নেয়। কাজেই আপনার সাইটের তথ্য তাদের কাছে থাকে। গুগল কোন সাইটকে প্রাধান্য দেয়, এজন্য কি ফর্মূলা ব্যবহার করে সেটা একমাত্র গুগলই জানে। বিশ্লেষকরা গবেষনা করে যা বের করতে পেরেছেন (অনুমান) তা হচ্ছে, আপনার সাইটটি সত্যিকার অর্থেই কতটা ভিজিটরদের জন্য উপকারী। যেটা যাচাই করা যায় নানাভাবে। যেমন; · কোন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করা হয়েছে এবং তারসাথে আপনার সাইটের বিষয়ের মিল কতটুকু (যেহতু গুগল দুটিই জানে)। · আপনার সাইট থেকে ফিরে গেছে (Bounce rate) এমন ভিজিটরের সংখ্যা কত। সার্চ ইঞ্জিনের ফল এবং মুল সাইটের পার্থক্য থাকলে এটা হয়। · ভিজিটর আপনার সাইটে গড়ে কত সময় কাটায়। · ভিজিটর আপনার সাইটে কোন ধরনের লিংকে ক্লিক করে। · একই ভিজিটর বারবার ব্যবহার করে কিনা। · নতুন ভিজিটরের সংখ্যা কত। ইত্যাদি আরো নানা বিষয়। যারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ করেন (পেশাদার) তারা অর্থের বিনিময়ে কোন সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর দায়িত্ব নেন। একাজ করা হয় নানাভাবে। কখনো সফটঅয়্যার ব্যবহার করে, কখনো টাকা দিয়ে সার্চ করিয়ে, কখনো টাকা দিয়ে ক্লিক করিয়ে। কখনো নির্দিস্ট পদ্ধতিতে কিওয়ার্ড লিখে। সার্চ ইঞ্জিন সবসময় একইভাবে কাজ করে না। অর্থাত তারা প্রতিনিয়ত সার্চের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনে। যেমন একসময় মনে করা হত একই কিওয়ার্ড পাশাপাশি কয়েকবার লিখলে সার্চ ইঞ্জিন ভালভাবে সাড়া দেয়। বাস্তবে দেখা গেছে গুগল এধরনের চেষ্টাকে শাস্তি দেয়। কখনো কখনো সফটঅয়্যার টুল ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনে তথ্য ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। এদেরকেও যদি গুগল চিনতে পারে তাহলে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়। অপ্রাসংগিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলেও গুগল শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়। আপনি মনে করলে অমুক কিওয়ার্ড সাইটে যোগ করলে ভিজিটর আসবে, কাজেই সেটা করে ভিজিটর আনলেন। গুগল ভিজিটরদের প্রতিটি তথ্য জানে এবং এধরনের কাজকে খারাপ দৃষ্টিতে দেখে। কাজেই, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের নামে যদি আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়াতে চান তাহলে গুগলের সাথে চালাকি না করে সোজা পথে যাওয়াই ভাল। এজন্য সবচেয়ে কার্যকর পথ হচ্ছে; · সার্চ ইঞ্জিন সহজে চিনতে পারে এমন কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন। টাইটেল হিসেবে অর্থবোধক বাক্য ব্যবহার করুন। তারমধ্যে গুরুত্বপুর্ন কিওয়ার্ড আগে, তারপর কত গুরুত্বের কিওয়ার্ড এভাবে রাখুন। · আপনার সাইটে সত্যিকার অর্থে ভাল বিষয় রাখুন। মানুষ সেখানে বেশি সময় কাটানোর অর্থ সেটা ভাল সাইট, এটাই গুগলের তত্ত্ব। তারা এধরনের সাইটকে প্রাধান্য দেয়। · ভিজিটরদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন। মন্তব্য, মতামত ইত্যাদিকে গুরুত্ব দিন। · নিয়মিত সাইট আপডেট করুন। নতুন নতুন তথ্য যোগ করুন। সাধারন ওয়েবসাইটের তুলনায় ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনের বেশি পছন্দ। · একই ধরনের অন্য সাইটের সাথে আদান-প্রদানের ভিত্তিতে আপনার সাইটের লিংক রাখতে পারেন। আপনার সাইট থেকে যেমন সেই সাইটে ভিজিটর যাবে তেমনি সেই সাইট থেকে আপনার সাইটে ভিজিটর আসবে। · বিভিন্ন সাইটে মন্তব্য লিখতে পারেন। মন্তব্যের সাথে থাকা লিংক ব্যবহার করে ভিজিটর আপনার সাইটে যাবে। · ফেসবুক, টুইটার এধরনের সাইটে একাউন্ট খুলে তার মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়াতে চেষ্টা করুন। · একই বিষয়ের অন্য সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। · বড় ধরনের ব্যবসায়িক প্রচারনার জন্য গুগলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। · তাড়াহুড়ো করার কোন প্রয়োজন নেই। সাইটের মান ভাল হলে যত দিন যাবে ভিজিটর তত বাড়বে।
Share on Google Plus

About K. M. Emrul Hasan

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment